বুধবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ দুই বিক্রেতা গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষিকার বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে গৌরনদীতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ গৌরনদীতে ধর্ষনের পর শিশু কন্যাকে হত্যা ১০ দিন পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার সাংবাদিক সঞ্জয় কুমার পালের শ্বশুর অতুল চন্দ্র কুন্ডু’র পরলোক গমন আমাকে কিন্তু কোন বাহিনীর প্রধান বানাইয়েন না আপনারা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন ‘তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই, সংস্কার শেষ হলেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন’ সমন্বয়কের বাড়ির দেয়ালে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিএনপিতে নেয়া হবে না : মির্জা ফখরুল ছাত্রদলের ঢাকা মহানগরের ৪ শাখার কমিটি অনুমোদন মেঘনায় জাহাজে নিহত সেই ৭ জনের পরিচয় মিলেছে

চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৬ বার পঠিত

সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি)। কারণ, তারা মনে করে সীমিত সংখ্যক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন লোক ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটার কোনো প্রয়োজন নেই।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলাম। এখন যে আন্দোলন চলছে তাতেও আমরা সমর্থন দিচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি ছাত্রদলের সমর্থনের কথা জানান নাসির।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল মনে করে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে, তার মাধ্যমে কোটা সংস্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত সমাধান হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য হলো, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য খুব সীমিত সংখ্যক কোটা ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের প্রতিহত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সফল হবে বলে তারা আশাবাদী।

নাছির বলেন, ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি না জানিয়ে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু অবৈধ প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার না করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ইচ্ছাকৃতভাবে কোটা বাতিল করেছেন।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন আদালতকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের রায় তার পক্ষে নিয়ে গেছেন, তেমনি একটি মীমাংসিত বিষয়ও তিনি এখন বিচার বিভাগের মাধ্যমে কোটা পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গত ১০ থেকে ১২ বছরে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ থেকে ১৩ হাজার নেতা-কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধাদের জাল সনদ দিয়েছে।

নাছির বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধার্থে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা আছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে এই ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ সরকার যে গুম ও হত্যার সংস্কৃতি চালু করেছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্যও আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান।

রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা কলেজের সকল নেতাদের আমি বলছি, আপনার কলেজের সহপাঠী আতিকুর রহমান রাসেলকে গুম করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আপনারাও তার অবস্থান জানতে চাইবেন।’

ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধান চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, গত ১ জুলাই রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ রাসেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে।

রাকিব বলেন, কোনো অভিযোগ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই রাসেল নিখোঁজ হয়েছেন। ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রদল ভয় পায় না। ছাত্রদলের একজন নেতাকর্মীও ভয় পায় না। রাসেলের সন্ধান চাইতে রাস্তায় নামবে ছাত্রদল।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘রাসেল ১২ দিন ধরে নিখোঁজ। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। রাসেলের পরিবারও খুব কঠিন সময় পার করছে।’

রাসেল নিখোঁজের বিষয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

দেরি না করে রাসেলকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া না হলে আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বকুল।

সংবাদ সম্মেলনে রাসেলের বাবা আবুল হোসেন সরদারও তার প্রিয় ছেলেকে নিরাপদে ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

রাসেলের বাবা আবেগাল্পুত হয়ে বলেন, ‘আমি ১১ দিন ধরে খুব অসুস্থ ছিলাম কারণ আমি খেতে বা পান করতে পারি না। আমার দুই ছেলে আছে, একজন বিদেশে থাকে, আরেকজন পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকে। কিন্তু এখন আমরা তার অবস্থান জানি না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত ২ জুন লালবাগ থানায় জিডি করি। কিন্তু এখনও তার কোনও সন্ধান মেলেনি। আমরা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’

সরদার উল্লেখ করেন, ১১ দিন আগে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় রাসেল নিখোঁজ হন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ১১ দিন ধরে কোথায় আছে, কী খাচ্ছে জানি না। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই। আমি জানি না আমার ছেলে কী অপরাধ করেছে… রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।’

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com