ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। গল্পকথায় বা ইতিহাসের পাতায় এসব কথা থাকলেও বাস্তবে তার যেন এক উল্টো চিত্র। বলছি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার নদীমাতৃক আড়িয়াল খা শাখা নদী পালরদী নদী’র কথা। তীর ঘ্যাষে গড়ে ওঠেছে এতিহ্যবাহী টরকী বন্দর। তবে টরকী বন্দর লঞ্চঘাট বা ট্রলার ঘাট নামেও বেশ পরিচিত।
এই নদীর সাথে খরচতা প্রবাহমান এই খালের মূখেই অবৈধ ভাবে গড়ে তুলেছেন একটি গাছ চিরানো স-মিল । খালের দুই পাড়ে ষরিষার তেল ভাঙ্গানোর দুইটি মিল রয়েছে এবং আরও একটি হলুদ,মরিচ গুড়া করার মিল রয়েছে। সেই মিলের পিছনে মাটি ফেলে করেছেন খাল ভরাট। কেউ করেছেন খালের প্রবেশ মুখ করাত কল দিয়ে দখল। আবার কেউ করেন খালের ভিতর মাটি ফেলে লাগিয়ে ছেন গাছ। আবার কেউ করেছেন ময়লা ফেলে করেছেন টংদোকান। এক কথায় বলা যায় এ যেন এক দখলের মহা উৎসব চলছে। এবিষয় এখনও যদি প্রশাসন কোন পদক্ষে না নেয় তাহলে প্রবহমান খাল খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তবে এটাকি পরিকল্পনার অভাব, নাকি পরিকল্পনা করেই এসব দখলের উৎসবে মেতে ভূমিদস্যূরা। সরকারী উদ্যোগে এতিহ্যবাহী টরকী বন্দরের প্রায় কোটি টাকার ড্রন নির্মানের শুরু হয়েছে। টরকী বন্দরের জলাবদ্ধতা পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৯৩৫ ফিট কংক্রিট ঢালাইয়ের ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজের সুফল পেতে হলে খালকে তার স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে দিতে হবে।
খালের দুই পাড়ের অবৈধ দখলের উচ্ছেদ ও নতুন করে কেউ যেন খালের ভিতর ময়লা ফেলে দখল করতে না পারে খাল, সে দিকেও নজর দিতে হবে প্রশাসনকে। এবিষয় টরকী বন্দরের ব্যাবসায়ীরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন যে আমাদের বন্দরের ড্রেন র্নিমান কাজ শুরু হয়েছে এতে আমরা খুবই খুসি। তবে ড্রেনের যে পানি নিষ্কাশন হয়ে খালে যাবে তাও তো খালে যেতে পারবে না। কারওন যে যার মত করে খাল দখল করে নিয়েছে। পানি যাওয়ার মতো কোন অবস্থা এখন আর খালে নেই। এই খাল থেকে নদীতে পানি নামতে পারবে না। পানি নামাতে হলে টরকী বন্দরের খাল কেটে আগের স্বাভাবিক পানির প্রবাহ যেন ঠিক থাকে সে ব্যাবস্থা করতে হবে। তা হলেই সরকারের এই কোটি টাকার ড্রেন কাজে আসবে।