বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইচগেট আসছে না কোন কাজে। এই উপজেলার মোট আয়াতন ১৫০.৫৪ বর্গ কিলো মিটার জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। এসব এলাকায় ধান,পাট,গম, ভূট্টা,আখসহ বিভিন্ন কৃষি পন্য উৎপাদন হয় এই উপজেলায়। তবে এই উপজেলায় আবাদী কৃষি জমির পরিমান রয়েছে প্রায় ১১ শো ৯৯ হেক্টর কৃষি জমি। ফলে এর মধ্যে ১০ হাজার ৩০০ হেক্টর কষি জমি চাষাবদা করছেন এলাকার কৃষক। এমনটাই জানান গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকার্তা কৃষিবিদ মো. সেকেন্দার শেখ।
গৌরনদী উপজেলার পালরদী নদী থেকে যে সব নদী’র খাল-বিলের সাথে সংযোগ রয়েছে এ রকম প্রায় ৭ থেকে ৮টি খালে বসানো হয়েছে স্লুইচগেট। যাতে করে কৃষক সব সময় খালে পানি পায়। অথবা জোয়ার ভাটার সময় খালে যে পানি প্রবেশ করে তা যেন নদীতে আর নামতে না পারে সেই চিন্ত করেই কি এই স্লুইচগেট বসানো হয়েছে এমনটাই জানান বার্থী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মজিদ। তিনি আরও বলেন যাতে করে শুকনা মৌসুমেও খালে পানি সব সব সময় থাকে সেই বিবেচনা করে খালে স্লুইচগেট বসানো হয়েছিল। কিন্তু খালে পানি আসার এখন আর কোন পরিবেশ নাই।
গৌরনদী উপজেলার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে বার্থী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউরগাতি, বাঘমারা আনন্দপুর ব্রিজ সংলগ্ন, গৌরনদী উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক সংলগ্ন গয়নাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন, পিংলাকাঠী, কয়ারিয়া বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে, কেফায়েত নগর, কালীবাড়ী স্কুলের সামনে এবং সরিকল পুলিশ ফাড়ির পূর্ব পাশে এরকম প্রায় ৭/৮টি স্লুইচগেট রয়েছে যা এখন কোনই কাজে আসছে না। সরিকল ইউনিয়নের কৃষক আজিজ পালোয়ান বলেন এখন এই সব স্লুইচগেট আমাদের জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। স্লুইচগেটের কারনে খালে এখন কোন পানি আসা যাওয়া করতে পারে না।তাই এই স্লুইচগেট এখন আর কোন কাজে আসেনা।