শুক্রবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চন্দ্রহার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও তার সহযোগীরা মিলে হামলা চালিয়ে বাবুল সরদার (৪৭) নামের এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেছে। মাথায় যখম হওয়া ওই যুবদল নেতাকে গুরুতর অবস্থায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে হামলার এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত যুবদল নেতা ও তার স্বজনদের সূত্রে জানাগেছে, আহত যুবদল নেতা বাবুল সরদার শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রেজওয়ানুর রহমান রাজিব ও তার সহযোগীরা মিলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে বাবুল সরদারের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে যখম করে। রক্তাক্ত যখম অবস্থায় স্বজনরা সেখান থেকে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকগন জানিয়েছেন বাবুল সরদারের মাথায় মারাতœক যখম ছিল। তার মাথায় ১১টি সেলাই লেগেছে। তবে এখন সে শংকামুক্ত।
আহত যুবদল নেতা বাবুল সরদার জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা চালাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির ২নং সদস্য রেজওয়ানুর রহমান রাজিবের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা আমার ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির ২নং সদস্য রেজওয়ানুর রহমান রাজিব বলেন, বাবুল সরদার এলাকায় একটি বেকু (এস্কেবেটর) ঢুকিয়ে মাটি কাটার ব্যবসা করছে। আমার সহযোগী বিএনপির নেতা-কর্মীরাও একটি বেকু (এস্কেবেটর) ঢুকিয়ে এলাকায় মাটি কাটার ব্যবসা শুরু করলে বাবুল আমাদের বেকুটি চালাতে বাঁধা দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। পিটিয়ে বা কুপিয়ে আহত করার মত কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি।