বরিশালের গৌরনদীতে অধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরধরে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে পৌর যুবলীগের তিন নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় পৌর যুব ও ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর নামোল্লেখসহ ২০ নেতাকর্মীকে আসামি করে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৌরনদী পৌর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য রায়হান ফকিরের স্ত্রী ও বড় কসবা এলাকার গৃহবধু পপি আক্তার বাদি হয়ে রোববার দুপুরে এ মামলা মামলা দায়ের করেন।
বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার ওসিকে মামলাটি রেকর্ড (নথিভূক্ত) করার নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- গৌরনদী পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদার, পৌর আ’লীগের সাবেক সদস্য ও চাঁদশী ইউপির সদস্য মিলন হাওলাদার, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ হাওলাদার, উপজেলা যুবলীগের সদস্য সাইমুন তালুকদার, পৌর ছাত্রলীগের কর্মী সজীব তালুকদার, পলাশ হাওলাদার, রনি শেখ, প্রিন্স শেখ, তায়েব হাওলাদার, হেলাল তালুকদার ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০ নেতাকর্মী।
মামলার বাদি পপি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, টরকী বন্দরে ও কসবা এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আল-আমিন হাওলাদার এবং পৌর যুলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কাওছার ফকির গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
পৌর যুবলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কাওছার ফকির (৩০), পৌর যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমাদ খান (৩৫) ও আমার স্বামী পৌর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য রায়হান ফকির(৩১) একটি মোটর সাইকেল যোগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে টরকী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
পথিমধ্যে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ওই মোটর সাইকেলটি কসবা আল্লাহ্’র মসজিদ বাসস্ট্যান্ডে পৌছিলে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রলীগের ২০/২২ নেতাকর্শী মোটর সাইকেলটির গতিরোধ করে।
এ সময় পৌর কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে যুবলীগ নেতা কাওছার ফকির, ইমাদ খান (৩৫), আমার স্বামী রায়হান ফকিরকে উপর্যপুরি কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম ও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে স্বজনরা ওইদিনই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদার বলেন, এ হামলার ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার সময় আমি গৌরনদী বন্দরে ভোলা সাহার মার্কেটে কেনাকাটা করছিলাম। রাজনৈতিক ভাবে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট ও আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একটি মহলের প্ররোচনায় আমাকে ওই মাশলায় আসামি করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করছি।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান, বরিশাল আদালতে মামলা দায়েরের খবর লোক মুখে শুনেছি। তবে, বরিশাল আদালত থেকে এখনও মামলার কপি থানায় এসে পৌছেনি। মামলার কপি পেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।