বরিশালের গৌরনদীতে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। পৌরসদরে বিদ্যুৎ কিছুটা বেশি সময় থাকলে ও গ্রামগঞ্জের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। আষাঢ় মাসেও থেমে নেই এই লোডশেডিং। এমনকি দুপুর, বিকাল ও রাতেও হচ্ছে অতিমাত্রায় লোডশেডিং। প্রচুর গরমে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ করে তুলছে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
গরম যত বাড়ছে, লোডশেডিং ও তত বাড়ছে। গেল এক সাপ্তাহ থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেক বেশি এই এলাকায়। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাহকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চরম সমালোচনা শুরু করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বসবাসরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ লোকের মধ্যে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৮২ হাজার। বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর অধীনে গৌরনদী জোনাল অফিস দু’টি সাব স্টেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছেন।
শতভাগ বিদ্যুতায়িত এ উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণের লক্ষে বরিশাল ছাড়াও মাদরীপুর গ্রিড থেকেও লাইন নেয়া আছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র হল গ্রাহক লোডশেডিংয়ের যাঁতাকলে পড়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিং নিয়ে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও এসব যেনো তোয়াক্কাই করেন না পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ধুরিয়াল গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক আঃ রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজের বিঘ্ন ঘটছে।
সারাদিন বিভিন্ন ধরনের কাজ করে বাসায় ফেরলে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। গত মঙ্গলবার সারা রাত বিদ্যুৎ ছিলো না। সুন্দরদী গ্রামের রুহুল আমিন সিকদার বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং- এর কারণে মিল ,কলকারখানাও বিভিন্ন ফেক্টোরী মালিক গন অর্থনীতি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । বাংগীলা গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহক মোঃ সবুজ সরদার বলেন, লোডশেডিংয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা ঠিকমত লেখা পড়া করতে পারছে না এবং ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও ভ্যান চালকরা পরেছে মাহা বিপদে।
তবে গৌরনদী জোনাল অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. সম্রাট খান পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে লোডশেডিং বেশী হয়েছে এ ছাড়া অন্যান্য দিন তুলনা মূলক একটু কম হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গৌরনদীতে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছেই।
এ জাতীয় আরো খবর..