গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:- প্রতিদিনই বেড়েই চলছে চুরির ঘটনা। আতঙ্কে এবং নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দারা। একেরপর এক ঘটেই চলছে চুরির ঘটনা। চুরি হওয়ার পরে কেউ কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আবার অনেকেই থানা পুলিশের কাছে যেতে অনিহা। চুরি বা ডাকাতি হওয়ার বিষয়ে কোন অভিযোগ হলেও তা আর আলোর মুখ দেখে না। অভিযোগ করলেও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন থানা পুলিশ।
গত ৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক সংলগ্ন টরকী বাসস্ট্যান্ড বরিশাল গামী লোকালবাস কাউন্টারের পূর্ব পাশে সেলিনা ভিলার ছয়তলা ভবনের তিন তলা থেকে সাবেক এনজিও কর্মকর্তা অজয় দাসের ভাড়া বাসা থেকে ছয়ভরি স্বর্ণসহ বাসায় থাকা দেড় লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরের দল।
ওই বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেছে দেখা গেছে একজন নিচে দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন এবং দুইজন বাসার ৩য় তলায় চুরি করছেন। তিনজন যুবককে বাসা থেকে ওঠানামা করতে দেখা গেছে। বেসরকারি সাবেক এই এনজিও কর্মকর্তা অজয় দাস এর স্ত্রী স্বর্ণালী দাস জানান গত ৪ মার্চ আমি আমার বাবার বাড়ি বেড়াতে যাই। পরে বাসায় এসে দেখতে পাই আলমারির জিনিসপত্র এলোমেলো খাটের উপরে স্টিলের আলমারি ড্রয়ার রাখা কে বা কাহারা বাসার আলমারি থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা এবং ছয় ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে সঙ্ঘবদ্ধ চোরের দল। তবে চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের বাসায় উঠতে নামতে বাড়ির সিসিটিভির ক্যামেরায় দেখা গেছে। তিনি আরো জানান স্বর্ণ অলংকারের সাথে এমিটিসোনা আরও গহনাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিল কিন্তু চোরের দল এমিটিসোনার জিনিস রেখে প্রায় ছয় ভড়ি স্বর্ণ এবং দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সাবেক বেসরকারি এনজিও কর্মকর্তা অজয় দাস জানান ৭দিন আগে অভিযোগ করেও এখনো কোনো সুরাহা পাইনি আমরা কিভাবে বাসা ভাড়া দিবো তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি খুব দ্রুত চুরি হওয়া স্বর্ণ অলংকার এবং টাকা উদ্ধার করে দিবে।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান অভিযোগ পেয়েছি আমাদের দতন্ত চলছে আমরা খুব তারাতারি যেকোনো সময় স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা আমরা উদ্ধার করতে পারব।