বরিশালের গৌরনদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় এক বিএনপি নেতার বসতঘরে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বার্থী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত অবস্থায় বিএনপির ২ নেতাকর্মীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মীকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বার্থী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য মো. করিম লস্কর (৩৬) ও বার্থী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ ফকিরের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। ইউপি সদস্য করিম লস্করের বাড়ির পাশের গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা দিয়ে গ্রামের লোকজন চলাচল করতেন। করিম লস্করের বড় ভাই আবদুল কাদের লস্কর (৪০) শুক্রবার সকাল আটটার দিকে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। সকাল নয়টার দিকে বিএনপি নেতা আজিজ ফকিরের আত্মীয় মকবুল হোসেন ব্যাপারীর স্ত্রী লাকি বেগম (৩২) ওই পথ দিয়ে যাওয়ার পথে বেড়া দেখে তা ভাঙার চেষ্টা করেন। এ সময় ইউপি সদস্য করিম লস্করের স্ত্রী রিনা আক্তার (৩০) বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে দুই নারী মারামারিতে লিপ্ত হন। সকাল ১০টার দিকে লাকি বেগমের ভাশুর রিপন ব্যাপারী (৩৫) বার্থী বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে করিম লস্করের বাড়ির সামনে পৌঁছালে করিম লস্করের সমর্থকেরা তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন এবং তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিযন্ত্রণ আনে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।