বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাটাজোর বাসষ্টান্ডে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সাবেক আহ্বায়ক দেলাওয়ার হাওলাদার সহ ৫জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। গুরুতরভাবে আহত দুইজনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুসহ ১০/১৫ জন সমর্থকদের নিয়ে মটরসাইকেলযোগে বাটাজোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কর্মি আলতাফ হোসেনের জানাজায় যোগদানের জন্য রওয়ানা হন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাটাজোর বাসষ্টান্ডে পৌছলে কতিপয় সমর্থকদের সাথে দাড়িয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হারিছুর রহমানের সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার সেখানে উপস্থিত হলে মনিরের এক সমর্থক মনিরের সাথে দেলোয়ারের ছবি তুলে।এ সময় যুবলীগ নেতা দেলোয়ারের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মি ইমতিয়াজ মাহমুদ (৩২) ক্যামেরাম্যানকে থাপ্পর মারে। এ নিয়ে উভয় সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মোঃ মনির মিয়া অভিযোগ করেন বলেন, যুবলীগ নেতা দেলোয়ারের সমর্থকরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈকত গুহ, সমর্থক পলাশ হোসেন (২৭) ও মামুন খানকে (৩২) কুপিয়ে রক্তাক্তভাবে জখম করে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কালু তালুকদার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ দেলোয়ার হোসেনকে লক্ষ করে পিস্তিল দিয়ে গুলি করে এতে দেলোয়ার হোসেন ও তার পুত্র ইমতিয়াজ মাহমুদ আহত হন।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহর অবস্থা সংকটাপন্ন। তার মাথায় ধারাল আঘাত অধিক গভীরতর ।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মিয়া ও মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু সমর্থকদের নিয়ে একটি জানাজায় যাওয়ার পথে বাটাজোর বাসষ্টান্ডে ছবি তোলা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
এ সময় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহসহ তিনজন আহত হন। গুরুতরভাবে আহত সৈকত গুহ, পলাশ ও দেলোয়ার হোসেনকে জখমের গুলিবিদ্ধ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।