বাংলাদেশে গুম হওয়া স্বজনদের ফিরিয়ে দিতে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশী আমেরিকান কনসার্নড সিটিজেনের ব্যানারে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেজ অব ভিকটিমস অব ডিজঅ্যাপায়ারেন্স’ উপলক্ষে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে যোগ দেয় কোয়ালিশন ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ, সাউথ এশিয়ান পলিশি ইনিশিয়েটিভ, গুম হওয়া স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাক প্রভৃতি। এছাড়া বিক্ষোভে আরো অংশ নেয় ভিকটিম ফ্যামিলির সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকেরা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিএইচআরডি বাংলাদেশের সেক্রেটারি ইমরান আনসারী, বাংলাদেশের বোর্ড মেম্বার রীটা রহমান, বিশিষ্ট লেখিকা ডা. মিনা ফারাহ, মাহতাব উদ্দিন আহম্মেদ, সাংবাদিক এমদাদ দিপু প্রমুখ। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন মাহবুবুর রহমান।
গুম হওয়া স্বজনদের পরিবারের সদস্যরাও এতে বক্তব্য রাখেন। গুম হওয়া ব্যারিস্টার আরমানের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চাচা মীর মাসুম আলী। এ সময় ‘সন্তান হারা মায়ের ডাক, ফ্যাসিবাদ নিপাদ যাক, গেট ব্যাক মাই ব্রাদার’ সহ বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো জাতিসঙ্ঘ চত্বর।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে বাংলাদেশে গুম, খুন বন্ধ করতে হবে। গুম হওয়াদের পরিবারের কাছে অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুম তদন্তে জাতিসঙ্ঘকে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে।
এছাড়া সমাবেশ জোর দাবি ওঠে অবিলম্বে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত আয়নাঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিতে হবে। সমাবেশ শেষে সি এইচ আর ডি বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব সমীপে একটি স্মারকলিপি দেয়।
জাতিসঙ্ঘের সামনে বিক্ষোভে সম্মতি জানিয়ে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অঙ্গসংগঠন। বিক্ষোভে যোগ দেয়া নেতারা হলেন, মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া, জসীম ভূইয়া, মাওলানা অলি উল্লাহ আতিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, আহবাব চৌধুরী খোকন, গোলাম ফারুক শাহীন প্রমুখ।