অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রান সরবরাহ তদারকির জন্য মানবিক ত্রাণ সমন্বয়ক নিয়োগ করেছে জাতিসংঘ। গতকাল মঙ্গলবার তাকে নিয়োগ দেয় সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে,শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব অনুমোদিত হয় তারই অংশ হিসেবে এই নিয়োগ।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায় জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল।
২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়। দুই দফায় বাড়া সেই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হলে তা সংশোধন করে ত্রাণ সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাব পাসও হয়ে যায়। সেই অনুযায়ী নেদারল্যান্ডস’এর সিগরিড কাগকে গাজায় মানবিক ও পূনর্নির্মাণ বিষয়ক ঊর্ধ্বতন সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তিনি ৮ জানুয়ারি থেকে তার দায়িত্ব পালন করবেন। সংস্থাটি জানায়, ‘তার এই ভূমিকায় তিনি গাজার জন্য মানবিক ত্রাণের চালানের সুবিধা প্রদান করবেন, সমন্বয় সাধন , নজরদারি এবং এর যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। যে সব দেশ এই সংঘাতে জড়িত নয় তিনি তাদের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পাঠানো তরান্বিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অস্ত্র বিরতির বিরোধিতা করছে। তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতি হলে কেবল হামাসেরই সুবিধা হবে। তার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা ও হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করানোর জন্য লড়াইয়ে সাময়িক বিরতিকে সমর্থন করছে।