গাজা উপত্যকায় এবার বাংকারবিধ্বংসী বোমা ফেলছে ইসরাইল। শনিবার রাতে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইল তার সেরা সৈন্যদের পাঠিয়েছে। তারা বলছে, তারা ‘দীর্ঘ ও কঠিন’ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তবে হামাসও জানিয়েছে, তারা ইসরাইলকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।
স্থল হামলার পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাটির ওপর বিমান হামলাও বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তার অভিযান সম্প্রসারণ করছে।
তিনি বলেন, ‘গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বিমান, স্থল ও সাগরপথে আমাদের যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’
ইসরাইলের দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড ডেস বলেন, ইসরাইল সম্ভবত তিন থেকে চার পর্যায়ে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই পর্যায়ে তারা হামাসের লজিস্টিকস, পরিবহন কমান্ড, যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস এবং গাজায় অল্প কিছু সীমা পর্যন্ত অনুপ্রবেশ করবে। তারা এ সময় হামাসের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে, তাও যাচাই করবে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের পর ‘নির্বিচার হামলা’ হতে পারে। এতে আরো বেশি বাহিনী অংশ নেবে।
অপরদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তারা পূর্ণ শক্তিতে ইসরাইলি বাহিনীকে মোকাবেলায় প্রস্তুত।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইসরাইল ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ’ করছে এবং এটি হবে ‘দীর্ঘ যুদ্ধ।’
তিনি বলেন, ওয়ার ক্যাবিনেট এবং সিকিউরিটি ক্যাবিনেটে স্থল অভিযান সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সর্বসম্মতভাবে।
তিনি ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন। তবে তিনি হামাসের হামলার খবর আগেই জানতেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা অস্বীকার করেন।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল ও অন্যান্য