চুয়াডাঙ্গায় ফেসবুকে গাইনি চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতরণার ঘটনায় মারুফুল হক মারুফ (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ।
শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। মারুফ ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুতুল (ছদ্মনাম) নামের একটি মেয়ে তার ব্যক্তিগত গোপনীয় কিছু সমস্যার জন্য অনলাইনে গাইনি চিকিৎসক খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে ফেসবুকে কামরুন নাহার নামের একটি গাইনি চিকিৎসকের আইডি দেখেন তিনি। পরে চিকিৎসক ভেবে ওই আইডিতে যোগাযোগ শুরু করেন। মেসেঞ্জারে মেয়েটি তার ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো জানান। এ সময় প্রতারক মেয়েটিকে তার সমস্যাজনিত স্থানের ছবি দিতে বললে পুতুল ছবি পাঠিয়ে দেন। পরে ওই আইডি থেকে পুতুলের শরীরের আরো কিছু আপত্তিকর স্থানের ছবি পাঠাতে বলা হয়।
বিষয়টি তার সন্দেহ হলে প্রতারক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ বন্ধের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় প্রতারক তাকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে এবং তার কথায় রাজি না হলে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। পরে উপায় না দেখে মেয়েটি চুয়াডাঙ্গা থানায় ঘটনাটি জানালে সদর থানার পুলিশের একটি টিম কৌশলে প্রতারক মারুফকে আটক করে হেফাজতে নেয়।
প্রতারককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল।
ওসি কাজল বলেন, ‘মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে মাঠে নামে সদর থানার পুলিশ। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের উইমেন সাইবার ক্রাইম সাপোর্ট সেন্টারের সহযোগিতায় ভুয়া আইডির ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।’