বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর সার্বজনীন রাধাগোবিন্দ মন্দিরে গত ৩০ বছরের ও চারতলা ভবন মির্মাণের হিসাব নিকাশ না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কি ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অমর রায় ও ভবন নির্মাণ কমিটির প্রভাবশালী সদস্য শিশির কুন্ডু’র মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় উভয় সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
মন্দিও সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, গত ৩০ বছর ধরে টরকী বন্দর রাধাগোবিন্দ মন্দির কমিটির সভাপতি অমর রায় মন্দিরের আয় ব্যয়ের কোন হিসাব না দিয়ে টালবাহানা করে আসছে। এদিকে ওই মন্দির নির্মাণ কমিটির প্রভাবশালী সদস্য শিশির কুন্ড মন্দিরের চারতলা ভবন নির্মাণকালে প্রায় পৌণে ২ কোটি টাকা অগ্রিম নিয়ে নিচ তলার ১৩টি দোকান ভাড়া দিয়েছেন।
গত তিন বছর পূর্বে সাড়ে ৩৫’শ বর্গফুটের মন্দির ভবন নির্মাণ শুরুর আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বিত্তবান ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২ বছর পূর্বে মন্দির ভবনের চারতলার নির্মাণ কাজ শেষ হলেও নির্মাণ কমিটির সদস্য শিশির কুন্ডু মন্দির পরিচালনা কমিটির কাছে হিসাব দিতে টালবাহানা করে আসছে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন নিয়ে গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে মন্দিরের হলরুমে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শেষ মুহুর্তে মন্দির কমিটির সভাপতি অমর রায় ও মন্দির ভবন নির্মাণ কমিটির শিশির কুন্ডু একে অপরের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব চায়। এ সময় উপস্থিত সদস্যরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। এ সময় অমর রায়ের সঙ্গে শিশির কুন্ডুর বাকবিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। গত ১০/১২ বছর ধরে মন্দিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। দান বাক্সের টাকা ছাড়া বর্তমানে মন্দিরের ১৩টি স্টল ভাড়া দিয়ে বছরে সাড়ে ৫ লাখ টাকা আয় করে আসছে।
এ ব্যাপারে মন্দির নির্মাণ কমিটির প্রভাবশালী সদস্য শিশির কুন্ডু বলেন, অমর দা হাত তুলে কথা বলার সময় আমার গায়ে লাগে। মন্দির ভবনের চারতলার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। তাই হিসাব দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ অস্বীকার করে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অমর রায় বলেন, কার কাছে হিসাব দিব। রাস্তায় বসে হিসাব চাইলে কি হিসাব দেওয়া যায়। মন্দিরের মিটিং হলে সেখানে হিসাব দেওয়া হবে। শীঘ্রই মন্দিরের পূণাঙ্গ কমিটি করা হবে।