শুক্রবার, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
সরকারকে বিব্রত করতে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা গুগলকে ২0,000,000, 000,000,000, 000,000,000, 000,000,000 ডলার জরিমানা শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়ে জেলার নামে ১৮ বিশ্ববিদ্যালয় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করবেন আইন উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার সাথে সংঘর্ষ : জাপার প্রধান কার্যালয়ে আগুন প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রয়োজনবোধ করছে না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান : অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘আ’লীগ আমলে ব্যাংক, জ্বালানি, অবকাঠামো ও আইসিটি খাতে বেশি অনিয়ম হয়েছে’ আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-এম. জহির উদ্দিন স্বপন

গত অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪.৫৭ শতাংশ : বিএফআইইউ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ৩১ বার পঠিত

দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে (এসটিআর) জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বিএফআইইউ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ২০০২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি শাখা হিসেবে বিএফআইইউ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এক বছরের ব্যবধানে এসটিআর বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫৩৫টি। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।

বিএফআইইউ প্রধান বলেন, সব এসটিআর সত্য নয়, এ ধরনের কোনো লেনদেন শনাক্ত করার পর বিএফআইইউ বিষয়টি তদন্ত করেছে। যখনই কোনো অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে তখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাসুদ বলেন, ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে। এ ধরনের লেনদেন বন্ধে ব্যাংকগুলো সহযোগিতা না করলে মানিলন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়। কারণ একবার টাকা পাচার হয়ে গেলে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, বিএফআইইউ পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে এবং তা বন্ধে সহযোগিতার জন্য ১০টি দেশের সাথে সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য কাজ করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএফআইইউ প্রধান জানান, বিএফআইইউর তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯টি অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুদক ৪৭টি, সিআইডি ১০টি ও এনবিআরের বিশেষ সেল ২টি মামলা করেছে। এগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

বিএফআইইউর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮০৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আগের অর্থবছরে ব্যাংকগুলো জমা দিয়েছিল ৭ হাজার ৯৯৯টি প্রতিবেদন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১২১টি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আর মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো জমা দিয়েছে ৯০০ প্রতিবেদন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ’র নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক সারোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com