গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বড়দিনের ছুটি কাটাতে ভার্জিনিয়ার উদ্দেশ্যে এয়ারফোর্স ওয়ান ছেড়ে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন। সেখানে ২০২৪ সালের মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব ভালো। একটু দেখে নিন। এরপর সঠিকভাবে সংবাদ পরিবেশন করুন।’
এ সময় দেশের অর্থনীতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বাইডেন। কারণ ভোটাররা অব্যাহতভাবে বাইডেনের নেয়া অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণী ও কলা কৌশলগুলোর সমালোচনা করছে। যার ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে করে তার জনপ্রিয়তা দ্রুতই কমছে।
যদিও বিভিন্ন পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার যথেষ্ট কম এবং মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে। এর আগে গত অক্টোবরে হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন বাইডেন। বলেন, দেশের অর্থনীতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের নেতিবাচক প্রতিবেদনে মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা যায়, মাত্র ২৮ শতাংশ মার্কিনী বিশ্বাস করে যে, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাইডেন যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর মাত্র ১২ শতাংশ মনে করেন, তাদের অর্থনীতির অবস্থা ভালো যাচ্ছে। অর্থাৎ ৭২ শতাংশ মার্কিনীই বাইডেনের নেয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবেও সামগ্রিকভাবে বাইডেনের জনপ্রিয়তা ৩৪ শতাংশ কমে গেছে। গত পাঁচ মাসে কমেছে ১০ শতাংশ। চলতি মাসের শুরুতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ শতাংশ তরুণ বিশ্বাস করে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের প্রশাসন তাদের জন্য ভালো কাজ করেছে। অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ তরুণ মনে করে, বাইডেন তাদের জন্য ভালো কিছু করেননি।
মনমাউথ পোলিং ডিরেক্টর পেট্রিক মুরে সতর্ক করেন, অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানগুলোর ফল ভালো না হলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাইডেন আরও ভোটার হারাতে পারেন।
ডব্লিউএসজে এর পরিসংখ্যান বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রিয়তায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেনের থেকে ৬ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন। আর নিউইয়র্ক টাইমসের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্প পাঁচটি সুইং স্টেটে ৪ থেকে ১১ শতাংশ এগিয়ে আছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ ভোটার মনে করেন, গণমাধ্যমগুলো পক্ষপাতমূলক সংবাদ করছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিক রাসমুসেন রিপোর্ট মতে, বেশিরভাগ সমালোচকই মনে করছেন, গণমাধ্যম বাইডেনকে সমর্থন করছে।
৫১ শতাংশ মনে করেন, বাইডেন পুত্র হান্টার বাইডেনের নানা কেলেঙ্কারি সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভালোভাবে ‘কাভার’ করা হয়নি। শুধু ২৪ শতাংশ মনে করেন, এই ইস্যুকে খুব বড় করে দেখা হয়েছে গণমাধ্যমে।
এ জাতীয় আরো খবর..