বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন , ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসার বিচারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। ”
আজ আন্তর্জাতিক মা দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন।
বাণীতে তিনি বলেছেন , “আন্তর্জাতিক মা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মায়ের প্রতি আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি তাদের অব্যাহত সুখ ও সৃমৃদ্ধি কামনা করি। ‘মা’ বিস্ময়কর ও আলোকদিপ্ত একটি শব্দ। জন্মদাত্রী মায়ের পরিচর্যাতেই সন্তানদের স্বাভাবিক বিকাশ সাধিত হয়।
মায়ের জন্য প্রতিদিনই মা দিবস পালন করা উচিৎ। জীবনের যেকোন সাফল্যে মায়ের অবদান অপরিসিম। “মা” একটি পবিত্র শব্দ, যে ভাষায় তাঁকে সম্বোধন করা হোক না কেন, সর্বকালে সর্বক্ষেত্রে সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে দেশ ও কালের সীমানা অতিক্রম করেও মায়ের আত্মত্যাগের ভালবাসার রুপ অনেকটা অভিন্ন। জন্মদাত্রী হিসেবে সকলের জীবনে মায়ের স্থান সবার উপরে।
কেবলমাত্র মায়েরাই সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে। তিনি সন্তানের জন্য কষ্ট যাতনা নীরবে সহ্য করেন, অসীম ত্যাগ স্বীকার করেন। মা’র অনুগ্রহ ছাড়া কোন প্রাণীরই প্রাণধারণ করা অসম্ভব। সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য, আত্মমর্যাদার জন্য মায়ের সান্নিধ্য সন্তানকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে। অনেক শক্তির আধার একজন মা।
যিনি ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় নারী সমাজের অগ্রগতির জন্য অবদান রেখেছিলেন তা প্রশংসিত হয়েছে দেশ-বিদেশে, সেই ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসার বিচারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কেড়ে নেয়া হয়েছে মানুষ হিসেবে তাঁর সকল মানবাধিকার। অথচ আর্থিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে এদেশে দেশনেত্রীর অবদান কিংবদন্তিতুল্য। এই মহিমান্বিত দিবসে আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। মা দিবসে আমি দেশের সকল নাগরিককে আহবান জানাবো-তারা যেন মায়েদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান ও কর্তব্য পালন করেন, কারণ কেবলমাত্র সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার একমাত্র শর্ত হচ্ছে মায়ের মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন থাকা।