কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা নগরীতে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। শীতের রাতকে উপেক্ষা করে খোলা মাঠে রাত কাটিয়েছেনে হাজারো নেতাকর্মী।
শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে টাউন হল মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন।
সমাবেশকে ঘিরে নগরী ও আশপাশের হোটেল, নেতাকর্মীদের খালি করা বাসাবাড়িকানায় কানায় ভরে গেছে। শুক্রবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, থাকার কোনো জায়গা না পেয়ে মাঠেই বিছানা পেতেছেন অনেক নেতাকর্মী। শীতের রাতে খোলা মাঠে বাতাসে কোনও রকম জড়সরো হয়ে শুয়ে আছেন।
দলকে ভালোবেসে, দলের টানে দু’দিন আগে থেকেই টাউন হল মাঠে আসতে শুরু করেন অনেক নেতাকর্মী। দূর থেকে আসা সমর্থক নেতাকর্মীরা দলীয় ও তাদের নেতাদের নামে শ্লোগান দিতেও দেখা
গেছে। রাতে সামবেশের মুক্ত মঞ্চে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
শীতের রাতে নেতাকর্মীদের শারিরীক অবস্থার খেয়াল রাখতে মাঠের পূর্ব পাশে রয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। এছাড়া রাতেই কুমিল্লা পৌঁছেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ অন্য নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন বলেন, হাজার হাজার নেতাকর্মী কুমিল্লামুখী হয়েছেন। সড়কগুলোতে এখন নেতাকর্মীদের ভিড়।
কেন্দ্রীয় বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘২৫ হাজার কর্মীকে আমি রিসিভ করেছি। তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করেছি। তাদের মধ্যে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জসহ কুমিল্লার ১৭টি উপজেলা থেকে এসেছেন। আমার ৭৮টি ফ্ল্যাট ও আবাসিক হোটেলে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। তাদের জন্য তিনবেলা খাবার ত্রিপল বিছিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’