বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে সরকারের কাছে আবারও চিঠি দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই চিঠি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সোয়া ৩ টার দিকে গণমাধ্যমাকে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাইরে পাঠানোর জন্য দুই-তিন দিন আগে শামীম ইস্কান্দার সাহেব এসেছিলেন। ওইদিনই বলে দিয়েছি। আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন। আইনি জটিলতার কারণে চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। উনি (আইনমন্ত্রী) এখন ব্যাখ্যা দেবেন।’
গত ৯ আগস্ট ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ওই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি নেত্রীর লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস- এসব প্রত্যঙ্গে নতুন নতুন সমস্যা বা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। যখন যে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তা প্রশমিত করা বা ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির শুরুতে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।