বিয়েতে খাবার কম পড়েছিল। এর জেরে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে কার্যত বেরিয়ে যাচ্ছিল বরের বাড়ির লোকজন। এদিকে বরযাত্রী যদি বেরিয়ে যায় তাহলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। পরিবারের সম্মান বলে কথা! এমন পরিস্থিতিতে কনের পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে বরের বাড়ির লোকজনকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই পরে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটের সুরাটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইম বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার রাতে সুরাটের লক্ষ্মীনগরে রাহুল প্রমোদ মোহন্ত ও অঞ্জলি কুমারী মিতুসিংয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। এ আয়োজনে খাবার কিছুটা কম পড়ায় রেগে যায় বরযাত্রীরা। তাদের দাবি এটা পুরো অপমান।
বরের বাড়ির লোকজন জানিয়ে দেন, এই মেয়ের সঙ্গে তাদের ছেলের বিয়ে দেবেন না। এরপরই কনের বাড়ি থেকে পুলিশকে ডাকা হয়।
স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মকর্তা আরবি গোজিয়া বলেন, ‘আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা বরকেও বুঝিয়েছি। তাদের আমরা বুঝিয়েছি যে, এমন ছোটখাটো বিষয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ কনের বাবা অনেক আয়োজন করেছিলেন। বর বিষয়টি বুঝেছিলেন। কিন্তু তিনি আর বিয়ে বাড়িতে যেতে চাননি। কারণ সেখানে আবার সমস্যা হতে পারে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এরপর বর কনের সম্মতিতে থানাতেই মালাবদল হয়। বিদায়ী পর্বও হয়েছে থানাতে। পুলিশই মালাসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে এসেছিল।’