শুক্রবার, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে সন্ত্রাস-মাদক বিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভা সারাদেশে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, মানববন্ধন হাসিনার দালালরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে : সারজিস শেখ হাসিনাকে পুনর্বহালের ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নেবে না : জয়নুল আবদিন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে কোনো দেশের সম্পৃক্ততা পেলে দায়ী করা হবে-তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎহীন সচিবালয়, বন্ধ দাপ্তরিক কার্যক্রম সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন ময়মনসিংহে ডাম্পট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের নিহত ৪ পেঁয়াজের দাম কমছেই, খুশি ভোক্তারা প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে অসংখ্য মিল-কারখানা, বেকারের আর্তনাদ

ক্লাসে ৭৫ শতাংশের কম উপস্থিত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাবেন না

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৪৫ বার পঠিত

শিক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষার্থী উপবৃত্তির সুবিধা নিচ্ছেন তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের জন্য ক্লাসে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগের বছরে যারা শতকরা ৪৫ শতাংশ নম্বর পায়নি তারাও উপরের শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলেও উপবৃত্তি পাবে না। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শর্ত হলো কোনো বিবাহিত শিক্ষার্থী কোনো ক্রমেই উপবৃত্তির আওতায় আর থাকতে পারবে না।
সূত্র জানায়, আগের বছরে সমাপনী পরীক্ষা ৪৫ শতাংশের কম নম্বর পাওয়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবেন না উপবৃত্তি। বছরে ৭৫ শতাংশের নিচে ক্লাস করা শিক্ষার্থীদেরও মিলবে না উপবৃত্তির টাকা। আবার ষষ্ঠ থেকে দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর অযোগ্য শিক্ষার্থীদের আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্ক্রিয় করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে এ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। জানা গেছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের উপবৃত্তির সুবিধাভোগী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ ও সমমান শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সমাপনী পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশের নিচে নম্বর পেলে, বছরে গড়ে ৭৫ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিত থাকলে, শেষ একাডেমিক স্তর অষ্টম, দশম বা দ্বাদশ শ্রেণী অতিক্রান্ত করলে, বিয়ে করে ফেললে বা পড়ালেখা ছেড়ে দিলে উপবৃত্তির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। অযোগ্য শিক্ষার্থীদের এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রিয় করতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এ কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নন এমন শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিষ্ক্রিয় করতে হবে। বিষয়টি জানিয়ে সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি।

শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রিয় করার নিয়মও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে হলে এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে (https://hsp.pmeat.gov.bd/HSP-MIS/login) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মেন্যুবারে ‘উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘শিক্ষার্থী স্ট্যাটাস পরিবর্তন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘খুজুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার যেসব শিক্ষার্থী অযোগ্য তাদের ‘সম্পাদন’ (কলম আইকন) বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার ‘শিক্ষার্থীর বর্তমান স্ট্যাটাস’ অপশনে ড্রপডাউন বক্সে ‘ নিষ্ক্রিয়’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এরপর স্ট্যাটাস পরিবর্তনের কারণ, যেমন ৪৫ শতাংশের নিচে নম্বর পাওয়া, ৭৫ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিতি, একাডেমিক স্তর অতিক্রম, বিয়ে বা ইত্যাদি এক বা একাধিক কারণ উল্লেখ করতে হবে। পরে মন্তব্যের ঘরে নিষ্ক্রিয়করণের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে। সবশেষে ‘সংরক্ষণ’ বাটনে ক্লিক করলে সফল মেসেজ প্রদর্শিত হবে।

সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কর্তৃক অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রিয়করণের বিষয়টি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করবেন। ২৫ জানুয়ারির মধ্যে উপবৃত্তি প্রাপ্তির অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রিয় করতে না পারলে বা কোনো অযোগ্য শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পেলে সৃষ্ট যেকোনো সমস্যার জন্য কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা উপজেলা-থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোনো কারণে এইচএসপি-এমআইএসে লগইন করতে না পারলে ‘পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন’ লেখা অংশে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানোর মাধ্যমে পাসওয়ার্ড পুনঃস্থাপন করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তার এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে দেয়া ইউজার প্রোফাইলের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য হালনাগাদ থাকতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় পাসওয়ার্ড বদলাতে না পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্যাডে প্রতিষ্ঠান প্রধানের লিখিত আবেদন উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা মধ্যে ইমেইলে (mis.hsp@pmeat.gov.bd) সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচিতে পাঠিয়ে পাসওয়ার্ড বদলানো যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com