উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারপাশ।
গত চারদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় কুয়াশা পড়া। রাতভর বৃষ্টির মত ঝড়ে শিশির বিন্দু। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম।
বিশেষ করে শীতে বিপাকে পড়েছে নদীর পাড় ও চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূল মানুষ। এছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
ঘন কুয়াশার সাথে যোগ হয়েছে হিমেল বাতাস ফলে জনজীবন দুূর্ভোগে পড়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ সময়মতো কাজে যেতে পারছে না। একইসাথে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রোববার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রী।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভগবতীপুর এলাকার দিনমজুর সাইদুল ইসলাম জানান, ‘ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশায় মাঠে কাজ করা খুব কঠিন হচ্ছে। কাজ করার সময় হাত-পা ঠান্ডায় জমে আসে।’
কুড়িগ্রাম পৌরসভার কানিজ পাড়ার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক রমজান আলী জানান, ‘কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব ধীরগতিতে অটো চালাতে হচ্ছে। সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যায় না।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এ মাসে তাপমাত্রা কমে তিনটির মতো শৈতপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সূত্র : বাসস