পটুয়াখালী দশমিনায় নিজের শোয়ার ঘর থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেখতে কালো হওয়ায় ওই যুবকের বিয়ে হচ্ছিল না, তাই ক্ষোভে-দুঃখে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছে পরিবার। তবে পুলিশ বলছে, আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
আজ রোববার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বেলা দুইটায় উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বলক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকের নাম চন্দ্র শেখর (২৫)। তিনি পূর্বলক্ষ্মীপুর গ্রামের যতিন ব্যাপারীর ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয়রা বলছে, চন্দ্র শেখর সহজ-সরলপ্রকৃতির ছেলে ছিল। এক বছর পর্যন্ত পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ের কথা চলছিল। কালো বলে কোনো মেয়েই বিয়েতে রাজি হননি। তাই মনের দুঃখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। গতকাল দুপুরে যতিন ব্যাপারী ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখে চিৎকার শুরু করেন। বাড়ির লোকজন এ অবস্থায় দেখে দশমিনা থানায় খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চন্দ্র শেখরের বাবা যতিন ব্যাপারী বলেন, ‘আমার ছেলে সহজ-সরলপ্রকৃতির ছিল। আমার সাংসারিক কোনো ঝামেলা নেই। আমার এক ছেলে, দুই মেয়ে। মেয়েরা তাদের স্বামীর বাড়িতে থাকে। এক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখছি। বৈশাখে বিয়ে হওয়ার কথা। শনিবার সকালে খেতে কাজ করতে গিয়ে কখন ঘরে এসে গলায় ফাঁস দিয়েছে জানি না। দুপুর দুইটায় খাবার খাওয়ার জন্য খোঁজ করতে ঘরে গিয়ে দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিই।’
যতিন ব্যাপারী আরও বলেন, ‘আমার ছেলে জন্মগতভাবে কালো। এক বছর ধরে ওর জন্য পাত্রী খুঁজছি। কিন্তু কালো জন্য মেয়েরা পছন্দ করে না। সেই জন্যে আমার ছেলে এ ঘটনা ঘটাইছে কি না, সেটাও কাউকে বলে নাই। এ জন্যও হইতে পারে।’
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেনকে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে চন্দ্র শেখরের মরদেহ থানায় আনা হয়। আজ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।’