সোমবার, ০১:৪০ অপরাহ্ন, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিলেট

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৪৪ বার পঠিত

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিলেট। শিলার আঘাতে বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খোলা আকাশের নিচে থাকা শতাধিক গাড়ি। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

রোববার (৩১ মার্চ) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ১৫ মিনিটের মতো স্থায়ী ছিল।

আবহাওয়া অধিদফতর সিলেট বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল।

আবহাওয়া অধিদফতর সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো: সজীব হোসাইন বলেন, ‘বছরের এই সময়ে ঝড়ের সাথে বৃষ্টিকে কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে শিলাবৃষ্টি হয়।’

জানা গেছে, রাত সোয়া ১০টার কিছু পরে তীব্র বেগে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। এরপর শুরু শিলাবৃষ্টি। অনেক শিলার আকৃতি ছয় ইঞ্চিরও বেশি দেখা গেছে। হঠাৎ শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে খোলা আকাশের নিচে থাকা যানবাহন। কয়েক শ’ যানবাহনের কাঁচ ভেঙে যায়। এছাড়া শিলাবৃষ্টির আঘাতে টিনের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই আহত হয়।

নগরের নয়াসড়ক মাদরাসার সামনে শিলাবৃষ্টির কবলে পড়া তরুণ ব্যবসায়ী সাইয়্যিদ মুজাদ্দিদ বলেন, ‘হঠাৎ ঝড়ো বাতাস শুরু হয়েই শিলাবৃষ্টি হতে থাকে। এত বড় আকৃতির শিলাবৃষ্টি আমি আগে দেখিনি।’

অনেক মানুষ আহত ও সিএনজিচালিত-অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের বাজারে বের হওয়ায় মানুষের ভিড় বেশি ছিল। তারা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। কিন্তু আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটলেও তার আগেই অনেকে আহত হয়। অনেক অটোরিকশার ছাদ শিলার আঘাতে ফুটো হয়ে যায়। অনেক গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।’

নগরের বাগবাড়ি এলাকায় বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়েন হালিম আহমদ নামে প্রাইভেটকারচালক। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘ঝড়ো বাতাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমি দ্রুত গাড়ির কাছে আসি সেটিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। গাড়ির সামনের গ্লাস পুরোটাই ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। গাড়ির বিভিন্ন অংশ দেবে গেছে শিলাবৃষ্টির আঘাতে। আমি নিজে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি।’

তার দাবি, রাস্তায় যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখেছেন সে থেকে তার ধারণা পাঁচ শতাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিলাবৃষ্টিতে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর সিলেট বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। এখন কয়েকটি এলাকা ছাড়া কোথাও বিদ্যুৎ নেই। আমরা মাঠে রয়েছি। কাজ চলছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com