মাদারীপুরের কালকিনিতে টাকার বিনিময়ে একটি চোরচক্রের সদস্যদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্হানীয় ছাত্রলীগ নেতা ও নৈশ্য প্রহরীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হলে শনিবার সকালে ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ সকল অভিযুক্তদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন স্হানীয় ব্যবসায়ীরা ও সচেতন মহল।
এলাকা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর বাজারের দোকানে চুরি, ডাকাতিসহ সকল ধরনের অপকর্ম থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদ মীর, মিলন, শফিক, শাহিন, স্বাধীন, নাজমুল ও মোয়াজ্জেমসহ আটজনের একটি নৈশ্য প্রহরীর টিম গঠন করে দেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা।গত সোমবার (৮জুলাই) দিবাগত রাত প্রায় তিনটার দিকে ওই বাজারে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে একটি চোরচক্রের সদ্যরা উপস্হিত হন। পরে তাদেরকে আটক করে ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদ মীর ও মিলন (গ্যারেজ)সহ নৈশ্য প্রহরীরা মিলে তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইলের মাধ্যমে (নগদ নাম্বারে) ২০ হাজার টাকা রেখে ওই চক্রের সদস্যদের ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে ওই রাতে সাহেবরামপুর এলাকার দুলাল হাওলাদারের একটি ভ্যান চুরি হয়ে যায়। অপরদিকে এই ঘটনা জানাজানি হলে ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ সকল অভিযুক্তদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন স্হানীয় ব্যবসায়ীরা ও সচেতন মহল।
অভিযুক্ত মিলন (গ্যারেজ) বলেন, আমার মোবাইলের নগদ নাম্বারে আটককৃতরা ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। তবে আমরা যা করেছি তা রাসেদের নেতৃত্বে করেছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদ মীর বলেন, আমাদের চা-নাস্তা খেতে আটককৃতরা টাকা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনি”ছুক বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বাজারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসেন একদল ডাকাত। তাদের আটক করে টাকা খেয়ে ছেড়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদ মীর ও নৈশ্য প্রহরীরা। আমরা তাদের বিচার চাই।
বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহিম মুরাদ সরদার বলেন, বাজারে বসে রাতে চোর-বা ডাকাত আটক করে টাকা খেয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে রাসেদ আমার কাছে স্বীকার করেছে। আমরা এই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার এস.আই রবিউল বলেন, এই বিষয়টি আমাকে মুরাদ চেয়ারম্যান জানিয়েছে। তবে এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..