ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কানাডার নাগরিক। তবে মায়ের প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশি পরিচয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশের মনোনয়নের ভিত্তিতে পদায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ ছাড়াই পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী করা হয়েছে।
তিনি ওই মনোনয়ন কানাডার পাসপোর্টধারী হিসেবে নিয়েছেন। ডব্লিউএইচওয়ের ৭৬তম সম্মেলন উপলক্ষে দিল্লিতে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয়। এ ক্ষেত্রে পুতুল নিজের পারিবারিক প্রভাব এবং তাঁর নিকটাত্মীয়দের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের বিপুল অর্থ ক্ষতিসাধন করেছেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে পুতুল দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এবং তাঁর পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহারের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্পে ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন।
এ জন্য এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া সূচনা ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে পুতুল জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে তিনি রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের দিয়ে ওই ফাউন্ডেশনের অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন।
সার্বিকভাবে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তি বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হয়ে ডব্লিউএইচওয়ের সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া দেশে জনমর্যাদাহানিকর। এর ফলে বিশ্বপরিমণ্ডলে দেশের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..