নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তিনি দুই ঘনিষ্ট প্রতিবেশী রাষ্ট্র কানাডা ও মেক্সিকোসহ চীনের রফতানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তার এই ঘোষণার সাথে তিনটি দেশই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ বলছে, শুল্ক ইস্যুতে কথা বলতে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) অঘোষিত সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ওই সময় মার-এ-লাগোতে ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ হয় তার। শুল্ক এত বেশি হলে কানাডার অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এরপরই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ক্ষমতায় বসতে যাওয়া ট্রাম্প। বাণিজ্য ও অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কানাডার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে বলার পর তিনি ট্রুডোকে বলেন, কানাডা তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাক।
এ সময় ট্রুডোসহ অন্যরা হেসে উঠেন। এই কথা ট্রাম্প মজাচ্ছলে বলেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ট্রুডো বলেন, কানাডা সমস্ত পণ্য ও পরিষেবা রফতানির ৭৫ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় এবং এক্ষেত্রে উচ্চ শুল্ক বসালে তা কানাডার অর্থনীতির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।
ট্রুডোকে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘অটোয়া যদি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং বাণিজ্য ঘাটতি পরিশোধসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় তাহলে কানাডার উচিত যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়া।’
ট্রাম্প আরো বলেন, কানাডা ৭০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীসহ সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদক এবং লোকদের ঢুকতে দিয়েছে। ফলে মার্কিন সীমান্ত সুরক্ষা হচ্ছে না।
তিনি কানাডার সাথে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টিও তুলে ধরেন। এই ঘাটতি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বলে জানান ট্রাম্প।
সূত্র: ফক্স নিউজ, এনডিটিভি এবং অন্যান্য