চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন দেখা দিয়েছে। এ ধরন প্রতিরোধে দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশ ও সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এজন্য সকল বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টসহ চার দফা সুপারিশ করেছে কোভিডবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি।
রোববার সকাল সোয়া ১০টায় সাংবাদিকদের সাথে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি জানান, চীন-ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আবারো করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। চীনের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে। অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করছে। এই অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে শনিবার জাতীয় কারিগরি কমিটির বৈঠক ছিল। কমিটি চারটি বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে।
কমিটির পরামর্শের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টে সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের জন্য এটির ভয়াবহতা অনেক বেশি। তাই যারা টিকা নেয়নি তাদের দ্রুত নিয়ে নেওয়ার জন্য কারিগরি কমিটি সুপারিশ করেছে। এছাড়া সেকেন্ড বুস্টার ডোজের (চতুর্থ ডোজ) প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধির বিষয়েও বলেছে কমিটি। যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, প্রেগন্যান্ট নারী ও ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন, তাদেরকে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দ্রুততম সময়ে নিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাদের কোমরবিড কন্ডিশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যেমন- মাস্ক ব্যবহার করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার বিষয়ে কারিগরি কমিটি থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
ডা: আহেমদুল কবীর বলেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও সাত থেকে আট জনের মধ্যে থাকলেও ইতোমধ্যে আইইডিসিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জিমোন সিকুয়েন্স চলমান রাখতে। কেননা করোনার নতুন ধরনটি দেশে আসলে দ্রুত শনাক্ত সম্ভব হবে।
করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মোহম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘এই মুহূর্তে শঙ্কিত নয়, সতর্ক হতে হবে। যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার মতো বিশ্বব্যাপী সেই পরিস্থিতিও নেই। কিন্তু হাত ধোয়া, মাস্ক পরার বিষয়টি মানুষ মনে হয় ভুলে গেছে। সাধারণ মানুষকে আবারো তা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।’