আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে শনিবার ভোর রাতে থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার অগ্রিম ঈদের টিকিট দেয়ার দ্বিতীয় দিন। সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রিয়জনদের নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য শুক্রবার বিকেল থেকেই রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যারা বৃহস্পতিবার লাইন দিয়েও প্রথম দিন টিকিট পাননি।
এদিকে পুরুষদের পাশাপাশি প্রচুর নারীরাও আগাম টিকিটের জন্য লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন। ঈদের আগে সড়কপথে যানজট থাকবে, তাছাড়া গরম-বৃষ্টির কারণে ভোগান্তি এড়ানোর আশঙ্কায় মানুষজন ট্রেনে বাড়ি যেতে আগ্রহী। আর সে কারণেই প্রতি ঈদের আগে ট্রেনের আগাম টিকিট কাটার জন্য হাজারো বিড়ম্বনা স্বত্বেও মানুষ ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে লাইন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন।
কমলাপুর স্টেশনে নিরাপত্তায় কাজ করছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা। আর কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বন্ধে পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র্যাবের উপস্থিতিও।
শুক্রবার থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ১ জুলাই দেয়া হয়েছে ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট, আজ ২ জুলাই দেয়া হচ্ছে ৬ জুলাইয়ের, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের ও ৫ জুলাই দেয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের আগাম টিকিট।
এদিকে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে ময়মনসিংহ, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। রাজধানীর ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে পাওয়া যাচ্ছে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট।