কবি আসাদ চৌধুরীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে কানাডায়। কবির ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক সিদ্ধান্তেই সেখানে দাফন হচ্ছে। শুক্রবার বাদ জুমা টরন্টোর নাগেট মসজিদে আসাদ চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন কবির জামাতা নাদিম ইকবাল।
জানাজার পর কবির মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্য মসজিদের ভেতরে আধা ঘণ্টা রাখা হবে। তারপর পিকারিং ডাফিন মেডোজে দাফন করা হবে।
কবি আসাদ চৌধুরীর জামাতা গণমাধ্যমকে বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল দেশের মাটিতে তার কবর হবে। কিন্তু এখন আমাদের কেউ দেশে থাকেন না। কবির পরিবারের সবাই এখানে থাকেন। সুতরাং তার সেই ইচ্ছে পূরণ করার সুযোগ হচ্ছে না।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে কানাডায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কবি আসাদ চৌধুরী। তার ছেলে জারিফ চৌধুরী জানান, টরন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসাদ চৌধুরী মারা গেছেন। বরেণ্য এই কবির বয়স ছিল ৮০ বছর।
প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’–এ পরিচিতি পান কবি আসাদ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০১৩ সালে পান একুশে পদক। ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন আসাদ চৌধুরী।