কনসার্ট ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ থেকেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার দাবি করা হয়েছে। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামের কনসার্ট ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’-এর মঞ্চে গানের ফাঁকে ফাঁকে উঠে আসেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারী, আহত ও আন্দোলনে শহীদের পরিবার। সেখানে তারা হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য শনিবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্ট ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর সিইও মীর মাহাবুবুর রহমান, আন্দোলনে এক হাত হারানো গাজী আতিকুল ইসলাম, মুখে গুলি লেগে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ, শহীদ আহনাফের মা এবং শহীদ সৈকতের বোনসহ আরো অনেকে।
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান-২৪- এ দুই হাজার শহীদ হন। অর্ধলক্ষ আহত হন। নতুন এই বাংলাদেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সবচেয়ে বেশি ভার অনুভব করছি।’
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সারজিস বলেন, ‘দেশের ও মানুষের স্বার্থে জীবন ও রক্তদানকারী ভাই-বোনদের স্বার্থে রাজনৈতিক বিভাজনের সৃষ্টি করবেন না। সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ ও দেশের মানুষকে রাখবেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের কোনো চিহ্ন এ দেশে থাকবে না।’
সারজিস আলম আরো বলেন, ‘খুনি হাসিনা স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষদের হয় দালাল, না হয় দাস বানিয়েছে, নয়তো নিশ্চুপ করিয়ে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। হাসিনা স্বৈরাচার শাসন টিকিয়ে রাখতে পুলিশকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে। তাই জনগণের আস্থা ফিরে আসে, পুলিশকে এমন কাজ করতে হবে।’
গণঅভ্যুত্থানে নিহত আহনাফের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সন্তানের হত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন। সরকার পতনের চার মাস পরও কিভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তিনি আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।