শুক্রবার, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে সন্ত্রাস-মাদক বিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভা সারাদেশে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, মানববন্ধন হাসিনার দালালরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে : সারজিস শেখ হাসিনাকে পুনর্বহালের ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নেবে না : জয়নুল আবদিন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে কোনো দেশের সম্পৃক্ততা পেলে দায়ী করা হবে-তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎহীন সচিবালয়, বন্ধ দাপ্তরিক কার্যক্রম সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন ময়মনসিংহে ডাম্পট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের নিহত ৪ পেঁয়াজের দাম কমছেই, খুশি ভোক্তারা প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে অসংখ্য মিল-কারখানা, বেকারের আর্তনাদ

কথাবার্তায় রাসূলের আদর্শ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৫৩ বার পঠিত

কথাবার্তা দিয়ে একজন মানুষের ভালো-মন্দ যাচাই করা যায়। এরই মধ্যে ফুটে ওঠে তার ব্যক্তিত্ব ও স্বভাব।
আর এ কথা মানুষকে যেমন জান্নাতে পৌঁছাতে সাহায্য করে, তেমনি জাহান্নামের পথেও নিয়ে যায়। একজন মু’মিনের কথাবার্তা ও আচরণ কেমন হবে, কেমন হবে তার সম্বোধন- তার উত্তম দৃষ্টান্ত রয়েছে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কথাবার্তা ও আচার ব্যবহারে।

সত্যবাদিতা : কথার ব্যাপারে সত্যতা হলো, কথার সাথে বাস্তবতার মিল থাকা। সত্যের একটি অলৌকিক প্রভাব আছে, যা মানুষকে অতি সহজেই আকর্ষণ করে।
কুরআনে সত্য কথার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বর্ণিত হয়েছে- ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো।’ (সূরা তাওবাহ-১১৯)
এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘নিশ্চয়ই সত্য ভালো কাজের পথ দেখায় আর ভালো কাজ জান্নাতের পথ দেখায়। আর মানুষ সত্য কথা বলতে অভ্যস্ত হলে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী হিসেবে (তার নাম) লিপিবদ্ধ হয়। নিশ্চয়ই অসত্য পাপের পথ দেখায় আর পাপ জাহান্নামের পথ দেখায়। কোনো ব্যক্তি মিথ্যায় রত থাকলে পরিশেষে আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী হিসেবেই (তার নাম) লিপিবদ্ধ করা হয়।’ (বুখারি-৬০৯৩)

মিষ্টভাষী : রাসূলুল্লাহ সা: কথাবার্তায় ও আচার-আচরণে কোমলতা অবলম্বন করতেন। কর্কশ ও শক্ত ভাষায় কারো সাথে কথা বলতেন না এবং কাউকে সম্বোধনও করতেন না। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘আপনি যদি কঠোর হৃদয়ের হতেন, তবে মানুষ আপনার থেকে দূরে চলে যেত।’ (সূরা আলে ইমরান-১৫৯)
স্পষ্টতা ও ধীরস্থিরতা : স্পষ্টতা কথার অন্যতম গুণ। শ্রোতার মনে স্পষ্ট কথার প্রভাব বেশি পড়ে। আয়েশা রা: বলেন, ‘রাসূল সা:-এর কথা এত সুস্পষ্ট ছিল যে, প্রত্যেক শ্রোতা তাঁর কথা বুঝত।’ (আবু দাউদ-৪৮৩৯)

শালীনতা : রাসূলুল্লাহ সা:-এর কথাবার্তায় শালীনতা ছিল অতুলনীয়। তিনি কখনো অশালীন কথা বলেননি। আনাস রা: থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সা: অশালীন, অভিশাপকারী ও গালিদাতা ছিলেন না। তিনি কাউকে তিরস্কার করার সময় শুধু এটুকু বলতেন, কী হলো তার? তার কপাল ধূলিমলিন হোক।’ (বুখারি-৬০৬৪)
বিশুদ্ধভাষী : রাসূলুল্লাহ সা: ছিলেন সবচেয়ে বিশুদ্ধ ভাষার অধিকারী। তাঁর উচ্চারণ, শব্দ প্রয়োগ ও বাচনভঙ্গি সবই ছিল বিশুদ্ধতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ। হিন্দ ইবনে আবু হালা রা:-কে রাসূলুল্লাহ সা:-এর বাচনভঙ্গি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বেশির ভাগ সময় নীরব থাকতেন। বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না। তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলতেন।

‘তিনি ব্যাপক অর্থবোধক বাক্যালাপ করতেন। তাঁর কথা ছিল একটি থেকে অপরটি পৃথক। তাঁর কথাবার্তা অতি বিস্তারিত কিংবা অতি সংক্ষিপ্তও ছিল না। অর্থাৎ তাঁর কথার মর্মার্থ অনুধাবনে কোনো প্রকার অসুবিধা হতো না। তাঁর কথায় কঠোরতার ছাপ ছিল না, থাকত না তুচ্ছতাচ্ছিল্যের ভাব।’ (শামায়েলে তিরমিজি-১৬৭)

লেখক :

  • মুহাম্মদ আবু সালেহ

সহকারী মুফতি, মারকাযুদ দাওয়াহ ওয়াল ইরশাদ, ঢাকা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com