প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অসৌজন্যমূলক’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া, পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) জাফর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
উল্লেখ্য, পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাননি। তিনি এবং তার ছেলে তানবীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ওই আসনে আশেক উল্লাহ রফিককে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হয়েছে। এই আসনে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাফর আলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য রাখায় ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপিকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হলো। কেন তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর কারণ দর্শানোর জন্য (শোকজ) নির্দেশ দেয়া হলো। সাতদিনের মধ্যে যদি জবাব না দেয়া হয়, তবে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবর সুপারিশ করা হবে।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী অন্যায় করেছেন দাবি করে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কঠোর ভাষায় বক্তব্য রাখেন তাকে। এ বিষয়ে জানতে এমপি জাফরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেননি। মনোনয়ন না পেয়ে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি।