ওজন কমাতে জীবনযাপন পরিবর্তন না করে উপায় নেই। শুধু ডায়েট মেনে খাবার খেলে কিংবা জিমে গিয়ে ক্যালোরি পোড়ালে চলবে না। এর জন্য স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলও মেনে চলতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কেউ শুধু ডায়েট করে ওজন কমাতে চাইছেন, আবার কেউ শুধু জিমেই ৪-৫ ঘণ্টা কাটিয়ে দিচ্ছেন ওজন কমে না। ওজন কমাতে গেলে ডায়েট ও এক্সারসাইজ দুটোই জরুরি। পাশাপাশি আর কোন কোন বিষয়ের ওপর নজর রাখবেন জেনে নিন।
ঘুমাতে হবে ৭ ঘণ্টা
সুস্থ থাকতে গেলে ঘুম জরুরি। ঘুমের কোনো বিকল্প হয় না। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে দেহে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। দেহে ঘ্রেলিন ও লেপটিন নামের হরমোন আমাদের কখন খিদে পেয়েছে আর কখন পেট ভর্তি রয়েছে, তার অনুভূতি করায়। যখন ঘুম ঠিকমতো হয় নাÑ এই দুই হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। তাই অত্যধিক খাবার খাওয়া, মিট-নাইট ক্রেভিংও বেড়ে যায়।
শরীর হাইড্রেড রাখতে হবে
শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলে চলবে না। সারা দিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। দিনের শুরুটা করুন এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি পান করে। এ ছাড়া সারাদিন ধরে পানি, ডিটক্স ওয়াটার, তরল জাতীয় খাবার খান, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখবে। শরীর হাইড্রেট থাকলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং বিপাক ক্রিয়া সচল থাকে।
স্ট্রেস কমান
সুস্থ থাকতে গেলে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে স্ট্রেস কমাতেই হবে। অত্যধিক মানসিক চাপে থাকলে দেহে স্ট্রেস হরমোন অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃসরণ হয়।
এর ফলে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে এবং ওজন বাড়ে। ওবেসিটির অন্যতম কারণই হলো স্ট্রেস। সুতরাং মানসিক চাপ কমানো ভীষণ জরুরি। যোগাসন, মেডিটেশনের মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে পারেন।