বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি। ডিজিটাল আইন তৈরি করেছে, কেউ কথা বলতে পারছে না। বিচারবিভাগ, আমলাতন্ত্র ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে দলীয়করণ করা হয়েছে। সরকার ও রাষ্ট্রকে এক করে ফেলেছে। তাই আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি থেকে দেশের প্রতিটি মানুষ মুক্তি চায়। তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। আমরা তো বলিনি বিএনপি এই মুহূর্তে ক্ষমতায় যাবে। আমরা তো বলিনি খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে কিংবা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আমরা তো মানুষের কষ্টের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। সেই কষ্ট মানুষ অনুভব করতে পেরেছে বলেই বিএনপির সমাবেশগুলোতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শাহাজান ওমর (বীর উত্তম) বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে তাই আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা এখন বলেন শাজাহান ভাই একটু খেয়াল রাইখেন। খাদ্যমন্ত্রী নিজেই বলেন যে শিক্ষামন্ত্রী দূর্নীতি করেছেন, তার কথায়ই বোঝা যায় যে এই সরকারের মন্ত্রীরা দূর্নীতি করেছেন। শুধু মন্ত্রীরাই নয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে ইউনিয়নের একজন মেম্বারও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাইতো দেশে দ্রব্যমূলের দাম বাড়লে তাদের কোন সমস্যা হয় না, সমস্যা হয় সাধারন মানুষের।
তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না, আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে নেমেছি। যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র ফিরে না আসবে ততদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট জয়নাল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম, নাজিম উদ্দিন আলম, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অন্যদিকে সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হলেও সকাল থেকেই বিভাগের বিভিন্ন স্থানের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারের সমাবেশস্থলে পোঁছায়।