বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে এবার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আদালত জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছে।
সোমবার বিচারপতি মো: সেলিম ও বিচারপতি মো: রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
মির্জা ফখরুল-আব্বাসের পক্ষে জামিন আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন ও জাকির হোসেন জুয়েল।
এর আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তিনবার নাকচ করে ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম)।
গত ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে তুলে নেয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর ডিবির কার্যালয় থেকে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। গত ১০ ডিসেম্বর বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে জামিন দেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একই মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানো বিএনপি নেতাদের মধ্যে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৪ জন। তবে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।