ডোনাল্ড ট্রাম্প মানেই যেন বিতর্কিত খবর। ২০১৬ সালে তিনি যখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসেছিলেন, তার মেয়াদের পুরোটা জুড়েই তাকে নিয়ে ছিল বিতর্ক। এবার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেননি, কিন্তু এর মধ্যেই বিশ^কে তার ‘গরম’ দেখাচ্ছেন। পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এবার তিনি গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ইচ্ছা ট্রাম্পের বেশ পুরনো। ট্রাম্প তার প্রথম শাসনামলেও গ্রিনল্যান্ড কেনার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। পরে তার মন্তব্যের জেরে ড্যানিশ কর্মকর্তারা বলেন, তাদের রাষ্ট্রের অংশ এই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বিক্রির জন্য নয়।পাল্টা হিসেবে তখন ট্রাম্প ডেনমার্কে তার রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করেন। এবার আবারও একই মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশে^র বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনতে চাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। ৮০ শতাংশ তুষারাবৃত দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মাত্র ৬০ হাজার লোক বাস করে। এখানে রয়েছে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ। গ্রিনল্যান্ড মূলত আর্কটিকের অংশ। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং সম্পদের জন্য বিভিন্ন জাতির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রিনল্যান্ডের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন পর্যন্ত অঞ্চল দাবি করার চেষ্টা করেছে।
ট্রাম্প এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যার মাত্র কয়েক দিন আগেই তিনি পানামা খালকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে আনার হুমকি দিয়েছেন। তিনি পানামা খাল দিয়ে মার্কিন জাহাজ চলাচলের ফি কমানোর দাবি করেন, অন্যথায় এর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে জবাবে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন পানামার প্রেসিডেন্ট।
পানামার প্রেসিডেন্ট জোসে রাউল মুলিনো বলেন, পানামা খাল এবং তার আশপাশের প্রতি ইঞ্চি জমির মালিক পানামা এবং এটিই বলবৎ থাকবে। এই ব্যাপারটি পানামার সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এ ইস্যুতে পানামা কখনও আপস করবে না।
তিনি আরও বলেন, চীন পানামা খাল নিয়ন্ত্রণ করছে বলে যে গুজব ছড়াচ্ছে, তা একেবারেই সত্য নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘উসকানি’ দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট।