আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন কেন? আপনি কেন বলেন, পালাবো না, আমরা জেলে যাব। এগুলো আগে ভাবা উচিত ছিল।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয় ভাবতে শুরু করেছেন। এটা তো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবেন।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে- মানুষ সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে চলে আসছে। বরিশালের সমাবেশে দুদিন আগে লঞ্চ-যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে, এমনকি খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরে সমাবেশে উপস্থিত হয়েছে।
সমাবেশে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের উদ্ধৃতি প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যখন বলে ‘চেষ্টা করতে হবে’ এটা আমাদের মধ্যে আসার সঞ্চার হয়েছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই সমাবেশগুলো থেকে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। আমরা যে যেখানেই ছিলাম অনেক বেশি নির্যাতিত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা যুগোপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে সকলে একমত হয়েছি। সেগুলো নিয়ে দ্রুতই আলোচনা করা হবে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আন্দোলনকে কিভাবে দমন নীতি এবং মামলা দিয়ে বন্ধ করা যায় সেই প্রচেষ্টা তারা শুরু করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, জনগণের পিঠ ঠেকে গেছে, এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এ মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনো হবে না। গত ১৫ বছর যাবত এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে তো দমিয়ে রাখতে পারেননি।
মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদেরকে মন্ত্রী বানাতে হবে না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন।
ফখরুল বলেন, বিশ্বাস করি, যদি আমরা একসাথে সামনে এগিয়ে যাই, তাহলে আমরা অবশ্যই জয়ী হব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কারস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি প্রমুখ।