আশা ছিলো আজকে বীরত্বের গল্প লিখবো, আশা ছিলো দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ধরে ছয়শ স্কয়ার ফিটে আটকে থাকা গৌরনদী উপজেলা বিএনপির অচলায়তন ভাঙ্গার সাহসিকতার গল্প লিখবো, আশা ছিলো গ্রুপিং শেষে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির সফলতার গল্প লিখবো।
সেখানে লিখতে হচ্ছে একরাশ হতাশার কথা৷
কেন আমাদেরকে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচী গ্রামের ভেতর একটা বাড়িতে পালন করতে হবে? কেন আমাদেরকে নুরুল আলম ভাই, শাওনের হত্যার প্রতিবাদ লুকিয়ে করতে হবে?
আজকে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির হতশ্রী দশার জন্যে দায়ী দলের নেতাদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল, তবে কেন ঐক্যবদ্ধ বিএনপি একটা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঠিকঠাকভাবে করতে পারবেনা? পুরো বাংলাদেশে যখন উপজেলাগুলোর কর্মসূচিতে পর্যন্ত মানুষ বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মত উপচে পড়ছে সেখানে বিএনপি অধ্যুষিত গৌরনদীতে এই অবস্থা কেন? সমস্যা কোথায়?
আমাদেরকে সিরিয়াসলি ভাবতে হবে সমস্যা কোথায়৷ কেন এখানে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা? একটা কথা বলি, শর্ষেতে যদি ভুত থাকে তবে সেই ভুত ওজাতে সারবেনা৷
সারা বাংলাদেশের বিক্ষোভ কর্মসূচির ছবি- ভিডিও আমরা অসম্ভব গর্ব নিয়ে প্রচার করি সেখানে কিনা আমার নিজের উপজেলার বিক্ষোভ কর্মসূচির ছবি আমি দিতে পারছিনা! এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্যে ভীষণ কষ্টের৷
এই লেখায় কেউ হার্ট হলে আমি স্যরি৷ বাট সত্যটা তো কাউকে না কাউকে বলতেই হয়৷
মোহাম্মদ রফিক
গৌরনদী – আগৈলঝাড়া