বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত ও আহতের ঘটনায় সারাদেশের বিভিন্ন থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা হচ্ছে। এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে।
গত ২০ জুলাই গুলিতে নিহত গার্মেন্টসকর্মী মিনারুল ইসলামের (২৯) বড় ভাই মো. নাজমুল হক গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ডা. সেলিনা হায়াত আইভী মামলার ১২ নম্বর আসামি। একই মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে। মামলাটিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। এছাড়া মামলার আসামি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরি ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মিনারুল ইসলাম একজন গার্মেন্টস কর্মী। গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের মুজিব ফ্যাশনের সামনে আসলে মামলার ২নং আসামি শামীম ওসমান তার হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে মিনারুলকে গুলি করে। সেই গুলি মিনারুলের বাম দিকের কিডনির নিচে লাগে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মো. সাইদুল ইসলাম, কাওসার ও ডালিম মোল্লা খানপুর হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, মিনারুল নামে এক গার্মেন্টকর্মী হত্যার অভিযোগে তার বড় ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অন্যদের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভীকেও আসামি করা হয়েছে।