দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রকাশ করা হবে। এবারই প্রথম ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ফল প্রকাশ হচ্ছে না। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড নিজস্বভাবেই তাদের ফল প্রকাশ করবে।
অন্যবারের মতো সরকার প্রধান বা প্রধান উপদেষ্টা কিংবা শিক্ষা উপদেষ্টা ফল ঘোষণা করবেন না উল্লেখ করে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বাসস’কে বলেন, ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না। এবার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা বেলা ১১টায় নিজ নিজ বোর্ডের ফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন।
তিনি জানান, আজ সকাল ১১টায় আমাদের এখান থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল দেয়ার পাশাপাশি আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যানও দেয়া হবে। এ ছাড়া সকল বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলও একযোগে সকাল ১১টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।
এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট
(www.dhakaeducationboard.gov.bd) ও বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে
(www.educationboardresults.gov.bd) গিয়ে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম এন্ট্রির পর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল নামানো যাবে। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করে ফল জানতে পারবেন। ফল প্রকাশের পর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও তা জানা যাবে।
এইচএসসির ফল জানতে EIIN লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং সরকার পতনের পরের ঘটনাপ্রবাহে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার পর বাকিগুলো আর নেয়া সম্ভব হয়নি। কিছু শিক্ষার্থীর দাবির মুখে পরে বাকি পরীক্ষা নেয়া হবে না বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়।
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। এবারের এইচএসসিতে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। অন্যদিকে, আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন।