ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের ৬৬ নেতানেত্রীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আজ-কালের মধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবারের উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করছে বিএনপি। তবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির অনেক নেতানেত্রী। তাই নির্দেশনা অমান্যকারী নেতাদের ওপর খড়গহস্ত বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্র বলছে, উপজেলা জেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতাদের প্রথম সাংগঠনিকভাবে বুঝিয়ে ভোট থেকে সরে আসতে বলা হয়। সেটি না হলে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। পরে একেবারেই ভোট থেকে সরে না এলে শাস্তি হিসেবে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হচ্ছে তাদের।
দলের নির্দেশনার পরও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে এর আগে ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এবার দ্বিতীয় দফায় ৬৬ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার এ নিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করেছে দলের হাই কমান্ড।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ৬৬ জনকে বহিষ্কারের তালিকা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ২৯ জন, ২০ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৭ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
দলের নির্দেশ মেনে দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
দেখা যাচ্ছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার বিএনপি নেতার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪১ জনে। নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপেও দলটির অনেকে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে বহিষ্কার নেতানেত্রীর তালিকা আরও দীর্ঘ হবে।
সংশ্লিষ্টদের অনুমান, উপজেলা নির্বাচনের শেষ ধাপ পর্যন্ত এবার বহিষ্কারের সংখ্যা দুই থেকে আড়াইশ জনে ঠেকতে পারে। গণহারে বিএনপি থেকে এই বহিষ্কার তৃণমূলে দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা।
তবে দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় বহিষ্কারের এই সংখ্যাকে গুরুত্ব দিতে চান না বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কিছু নেতা বহিষ্কার হলেও তাতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..