রাজ করছে। এ তাপমাত্রা দেশের সর্বোচ্চ হচ্ছে কোনোদিন ঈশ্বরদী কোনোদিন চুয়াডাঙ্গায়।
রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। তবে রোববার চলতি মৌসুমের ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদফতরে।
চৈত্রের কাঠফাটা রোদের পর বৈশাখের শুরুতে তীব্র তাপদাহ চলছে প্রকৃতিতে। এ দিকে সপ্তাহজুড়ে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ। এতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা বিরাজ করছে। একইসাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। ঝরে যাচ্ছে মৌসুমি ফল বিশেষ করে আম, লিচু ও বাদাম।
সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত একই মাত্রায় থাকছে এই অসহ তাপদাহ। সূর্য একটু উপরে উঠতেই মনে হয় যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছে না গ্রামের মানুষ। তাই দুপুর গড়াতেই পথ-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে।
এ দিকে তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ হচ্ছে রোগীর সিরিয়াল।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। তীব্র রোদ ও গুমোট আবহাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। অনেকে সামান্য স্বস্তির জন্য ছুটে চলছেন গাছের ছায়া তলে। তীব্র রোদ ও গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন আখের রস, তরমুজ, লেবুর শরবত, ঠাণ্ডা মাঠা, শশা ও ডাবের পানির দিকে। কনফেকশনারি থেকে শুরু করে বিপণী বিতানগুলোতে আইসক্রিম ও কোমল পানীয় বেচা-বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।
তাপদাহের কারণে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন থেকে হিট অ্যালার্ট এবং তাপদাহ থেকে রক্ষায় করণীয় বিষয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। তীব্র তাপদাহের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে ঘরের মধ্যেও স্বস্তিতে থাকতে পারছেন উপজেলার বাসিন্দারা।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানান, আজ (রোববার) বিকেল ৩টায় এ মৌসুমে ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়াতে পারে।