নানান পদের ডাল, মাংস ও বিভিন্ন রকমের মশলার সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় এ খাবারটি। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেণির মানুষের কাছে রয়েছে এ খাবারটির সমান কদর। নানান মশলার ব্যবহার এবং রান্নার কৌশলের ভিন্নতার কারণে দোকান ভেদে এ খাবারটির স্বাদও হয় ভিন্ন।
ইতিহাসবিদদের মতে, মোঘলদের হাত ধরেই আমাদের দেশে এ খাবারের প্রচলন শুরু হয়েছে। রান্না শেষে ধনিয়া পাতা, আদা কুচি, ভাজা পেঁয়াজ ও বিট লবণ দিয়ে, পরিবেশন করা হয় এ খাবারটি। পাত্রের আকার ভেদে ১০০ টাকা থেকে হাজার টাকাও বিক্রি হয় হালিম।
এদিকে বিভিন্ন রকম ডাল ও মাংস দিয়ে তৈরি করা হয় বলে, ইফতারে পুষ্টির চাহিদা পূরণে সক্ষম হালিম। তবে সারাদিন রোজা থাকার পর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায়, খাবারটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের ডায়েট ও নিউট্রিশন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ইসরাত জাহান বলেন, হালিম উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার হওয়ায় ইফতারে এ খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে যেদিন আমাদের মেন্যুতে হালিম থাকবে সেদিন যেন অন্যান্য তৈলাক্ত খাবার না থাকে।
তিনি বলেন, কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগীদের এ খাবারটি না খাওয়া ভালো। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সপ্তাহে একবার মুরগি দিয়ে তৈরি হালিম খেতে পারবেন।