ইউটিউব দেখে তীন ফল চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার দু’তরুণ। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের রুসাল মৃধা ও কাঞ্চন মিয়ার উদ্যোগে এ ফল চাষ করে তারা সফলতা পেয়েছেন। এরই মধ্যে বাগান থেকে প্রায় তিন শ’ কেজি তীন ফল বিক্রি করেছেন তারা।
উচ্চ ভেষজগুণসম্পন্ন এই ফলটি মুলাদীতে ছাদ কিংবা টবে শখের বশে চাষ করেন অনেক। তবে বাণিজ্যিকভাবে লাভের আশায় বাগান করতে তেমন দেখা যায় না। মুলাদীতে প্রথম এ দু’তরুণই উদ্যোগ নিয়ে ওই ফলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেন।
জানা যায়, নাজিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মৃধার ছেলে রুসাল ঢাকায় চাকরি করতেন। করোনা শুরু হলে গ্রামে ফিরে কিছু একটা করার লক্ষ্যে কাঞ্চন মিয়াকে সাথে নিয়ে ২০২১ সালের শুরুর দিকে বরই ও লেবুর বাগান শুরু করেন। পরে ইউটিউবে তীন ফলের চাষ দেখে আগ্রহী হয়ে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে দু’জন চার বিঘা জমিতে তীন, বরই ও লেবু চাষ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় তিন বিঘা জমিতে হচ্ছে তীন ফলের চাষ।
রুসাল বলেন, করোনায় বেকার হয়ে হতাশায় ছিলাম। পরে ইউটিউবে তীন ফলের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে দিনাজপুর থেকে তিন শ’ চারা কিনে বাগান শুরু করি।
রুসাল আরো বলেন, বাগান থেকে যারা ফল কিনতে আসেন তাদের কাছে প্রতি কেজি এক হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। ঢাকায় প্রতি কেজি এক হাজার পাঁচ শ’ থেকে দু’ হাজার টাকায় বিক্রি করি। বাগান থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় হয়েছে।
কাঞ্চন বলেন, এ বছর গাছ থেকে প্রায় তিন হাজার কলমের চারা তৈরি করেছি। এসব চারার অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি চারা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করি। ক্রেতাদের চারাগাছ রোপন ও পরিচর্যার কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছি।
তীন ফলের বাগান দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। দর্শনার্থীরা বলেন, কোরআনে বর্ণিত ও মরু অঞ্চলের ফল গ্রামে চাষ হচ্ছে তা দেখার জন্য এসেছি। ফল দেখে ভালোই লেগেছে। আমরাও চাষ করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মুলাদীতে দু’জন তরুণ উদ্যোক্তা তীন চাষে সফল হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।