ঢাকার আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলোতে বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের পর অন্তত ৭০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
সকালে কারখানায় কাজে যোগ দেয়ার পর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ ও ইটপাটকেল ছোড়ার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে সেখানকার অনেক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ।
আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন,‘দীর্ঘদিন রাজনৈতিক সরকারের আমলে শ্রমিকরা নাইট বিল, ওভার টাইম, টিফিন মিল, হাজিরা বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে তাদের দাবি জানাতে পারেনি। মূলত প্রভাবশালী মালিকপক্ষের কারণেই এটা পারেনি।’
বুধবার সকালের পর বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা একপর্যায়ে নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
এতে রাস্তার দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্য ও ঢাকা জেলা পুলিশ উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। দুপুরে পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয় বলে জানিয়েছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শ্রমিকরা এখন তাদের দাবি দাওয়ার কথা তুলছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে এই এলাকার কারখানাগুলোতে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। যে কারণে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
এমন পরিস্থিতিতে দুপুরে সচিবালয়ে এই নিয়ে বৈঠক করে অন্তর্বতীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
পরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ সাংবাদিকদের জানান, পোশাক কারখানায় যারা ভাঙচুর করছে তারা শ্রমিক না, বহিরাগত। শ্রমিক বাঁচাতে, অর্থনীতি বাঁচাতে শক্ত পদক্ষেপ নেবে সরকার।
পুলিশ বলছে, এই অঞ্চলে ১ হাজার ৮০০’র মতো কারখানা রয়েছে তার মধ্যে ছুটি দেয়া হয়েছে ৭০টি।
সূত্র : বিবিসি