চাঁদপুর ও গাজীপুরের সাবেক জেলা পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জাতীয় প্যারেডে পর পর দুইবার নেতৃত্বদানকারী এবং আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা শামছুন্নাহারকে পিএইচডি প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশের এআইজি পদে থাকা শামসুন্নাহার ইতালিতে ইউনাইটেড ন্যাশন্স গ্লোবাল সার্ভিস সেন্টার (ইউএনজিএসসি)-এর স্ট্যান্ডিং পুলিশ ক্যাপাসিটি (এসপিসি)তে হিউম্যান রিসোর্চ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
এআইজি শামসুন্নাহারের পিইচডিতে গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ‘বাংলাদেশে পুলিশ প্রশাসনে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির সংস্কার’ (রিফরম অব হিউম্যান ম্যানেজম্যান্ট সিসটেম ইন পুলিশ এডমিনিস্ট্রেশন অব বাংলাদেশ)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকীর তত্ত্বাবধানে তাঁর এই বিষয়ের অভিসন্দর্ভের জন্য সম্প্রতি পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এর আগে শামসুন্নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন’ (এমপাওয়ারম্যান্ট অব উইম্যান থ্রু পারটিসিপেশন ইন লোকাল গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ) এর বিষয়ে গবেষণাকর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে তিনি ২০০৫ সালে এম ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি ২০০৭ সালে চেভেনিং স্কলারশীপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহাম থেকে এমবিএ (পাবলিক সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল) ডিগ্রি লাভ করেন।
বর্তমানে পুলিশের এআইজি শামসুন্নাহার ইতালিতে ইউনাইটেড ন্যাশনস গ্লোবাল সার্ভিস সেন্টার (ইউএনজিএসসি) এর স্ট্যান্ডিং পুলিশ ক্যাপাসিটি (এসপিসি)তে হিউম্যান রিসোর্চ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে চাঁদপুর ও গাজীপুরে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
শামসুন্নাহারের বাবা হচ্ছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ফরিদপুরের বিশিষ্ট আইনজীবী শামছুল হক ভোলা মাস্টার। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
শামসুন্নাহার সুদূর ইতালি থেকে জানান, তাঁর জন্য এমন অর্জনে বেশ খুশি। এই জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে সারা জীবন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শামসুন্নাহার চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার পদে থাকাকালীন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, নারী নির্যাতন, বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সারা দেশে আলোচিত হন। পরে গাজীপুর জেলায় বদলি হয়ে সেখানেও একই আন্দোলন গড়ে তোলেন।