বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো কালেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।আগামীতেও হবে না।
শুক্রবার বিকেলে এক পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবিতে এপদযাত্রার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
রাজধানীর বাড্ডা সুবাস্তু নগরভ্যালী থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি মালিবাগ চৌধুরীপাড়া গিয়ে শেষ হয়। পাঁচ কিলোমিটার ব্যাপীদীর্ঘ এ পদযাত্রায় বিএনপি, শ্রমিকদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে সরকার, তারা ব্যাংক লুট করে নিয়েছে, অর্থনীতি ধ্বংস করেদিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, স্বাস্থ খাত সবই আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আবারনির্বাচনের কথা বলে। এরা আবারো যেনতেন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। নির্বাচন এখন সরকারের খেলায় পরিণতহয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এরা গায়ের জোরে কথা বলে। প্রতিবাদ করলে হামলা–মামলাএমনকি গুম হয়ে যেতে হয়। পুলিশের কাছে ন্যায়বিচার নিয়ে মামলা করতে গেলে উল্টো মামলায় জড়ানো হয়। সব জায়গায়অনিয়ম।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমন এমন কথা বলছেন যা দেশকে বিপদে ফেলছে। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে সরাতেচায়। কিন্তু এ ধরনের কথা একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেউ আশা করেনি। এ সরকার বুঝে গেছে, আন্তর্জাতিক মহল তাকে আরক্ষমতায় দেখতে চায় না, আন্তর্জাতিক সমর্থন হারিয়েছে বর্তমান সরকার, দেশের মানুষেরও সমর্থন নেই তাদের। দেশী–বিদেশীসবাই বলছে সরকারকে এখনই চলে যেতে হবে।এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। পরিষ্কার কথা।
তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারকে সরাতে হবে। বিএনপির আন্দোলনকে সরকার ভয়পায় বলেই বিএনপি নেতা–কর্মীদের আটকে রাখা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রাখতে সরকারআবারো নীল নকশা করছে। আমাদের পরিষ্কার কথা, বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে তবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারেরঅধীনে যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। আর বিএনপি ছাড়া এদেশে আর কোনো ভোট হবে না, হতেদেয়া হবে না।
শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক কাজী শাহ আলম রাজার সভাপতিত্বে পদযাত্রাপূর্বক সমাবেশে বক্তব্য রাখেনবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণেরআহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ারইশরাক হোসেন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহবায়ক সুমন ভূইয়া প্রমুখ।