জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই-আগস্টের শহীদদের লাশ কেন কবর থেকে তুলতে হবে? আর কোনো শহীদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেয়া হবে না।
আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের মধ্যে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, শহীদদের হত্যা মামলাগুলোতে বিচারকার্য পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রসঙ্গ টেনে সারজিস বলেন, ‘আপনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক কী হবে সেটা আপনাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন। খুনি হাসিনা এতগুলো মানুষকে খুন করে এই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে, যেই খুনি হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের দ্বারা বিতাড়িত হয়েছে, সেই খুনি হাসিনাকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছেন। যদি এই বাংলাদেশের সাথে আপনারা সম্পর্ক স্থাপন করতে চান, খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিন। খুনি হাসিনার বিচার এই বাংলাদেশের মানুষ করবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের এই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ভুলে গিয়ে যদি ক্ষমতার দিকে তাকিয়ে থাকে, সেটা যদি নাহিদ, আসিফ, সারজিস, হাসনাতও হয়, আপনারা তাদের বিরুদ্ধেও কথা বলবেন। এই বাংলাদেশে আর যেন কোনো ক্ষমতা পিপাসু নরপিশাচের জায়গা না হয়।’
সারজিস আলম বলেন, ‘পরিচয় তার যাই হোক- পুলিশ, বিজিবি, আর্মি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ- এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেবো না। তারা যেই পরিচয়েই পরিচিত হোক না কেন, তারা আমাদের কাছে একজন খুনি। তাদের এই খুনের বিচার করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন করে পোস্টিং তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সাথে বেঈমানি করলে কাউকেই ছাড়া দেয়া হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।