পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সরকার সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়েছে। আগামীতে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা কমবে। তবে একবারেই বড় আকারে নয়, ধাপে ধাপে কমানো হবে।’ আজ বৃহস্পতিবার সাভারে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গত ২৮ আগস্ট ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানো হয়। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এম এ মান্নান বলেন, ‘সরকার শুধু দাম কমায়নি, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বলেছেন দাম আবারও সমন্বয় করবেন, আরও কমাবেন। আমরা তাকে বিশ্বাস করি, সরকারকে বিশ্বাস করি। অবশ্যই সরকার তেলের দাম কমাবে। যদি না আরেক যুদ্ধ লেগে যায়, যদি বিশ্ববাজারে আবার ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা না ঘটে। তবে এটার লক্ষণ আপাতত আমরা দেখছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব স্ট্যাবল অবস্থায় আছে। সুতরাং আমি আশা করছি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকবে।’
তেলের দাম পরবর্তীতে কেমন কমতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নই। পূর্ব অভিজ্ঞতা যেহেতু আছে দাম কমাবে। তবে পর্যায়ক্রমে কমার পক্ষে আমি। লাফ দিয়ে বাড়া ও লাফ দিয়ে কমা ভালো না। পর্যায়ক্রমে কমানো হবে।’
এ মাসে তেলের দাম কমতে পারে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম কমানোর ব্যাপারে দিন ক্ষণ নিয়ে বলার মতো অবস্থা আমি রাখি না। তবে সার্বিকভাবে বলতে পারি দাম কমবে।’
এর আগে ৫ আগস্ট রাতে হঠাৎ ঘোষণায় বাড়ে জ্বালানি তেলের দাম। লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়ে বাজারে। মুহূর্তেই হু হু করে বাড়তে থাকে সব পণ্যের দাম। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি তথা বাজারে জিনিসপত্রের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির চাপে সাধারণ মানুষের দিশেহারা অবস্থা। এতে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, ডিআইজি হাবিবুর রহমান, সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, বিএইসপিআই-এর অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ ওমর আলী সরকার প্রমুখ।